একটা ফোটাও পড়া হয় নাই, কিন্তু একটু পরেই ইন-কোর্স শুরু হবে। ধুর। এরকম ভাবতে ভাবতেই তুপার পাশে গিয়ে বসলাম। এই একটা মেয়ে, মাশাল্লাহ! পড়ালেখা ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। পি.এল. এর ছুটিতে বৃষ্টির রাতে ১৪টা মোম বাতি জ্বালিয়ে সারারাত অঙ্ক করেছে! কারেন্ট নাই, কোথায় একটু বৃষ্টি দেখবে, নাহয় মোবাইলে প্রেম করবে… মেয়েটা পারেও!
যাই হোক ওর পাশে বসে প্রিপারেশন না নেওয়ার জন্য ঝারি খেতে খেতে কয়েকটা টপিক দেখার চেষ্টা করলাম। হায় কপাল। এই বইটার চেহারাইতো দেখি নাই কোন দিন!! আবারও ধুর!!
চুপচাপ বসে মোবাইলে একটু গুঁতাগুঁতি করতে করতেই স্যার এসে গেল। যাও একটু ভরসা ছিল যে হয়ত ইন-কোর্স পেছানোর জন্য কিছু একটা করব, কিসের কি… স্যার এসেই বোর্ডে প্রশ্ন লেখা শুরু করে দিল! প্রশ্নটা যে কি ভাষায় লেখা তাই বুঝলাম না। অক্ষরগুলো ইংরেজি, কিন্তু সবই মাথার উপর দিয়ে চলে গেল।
কি আসে যায়। তুপার খাতা থেকে দেখে দেখে লিখে দিলেই হবে!! অবশ্য যদি ওর হাতের লেখাটা উদ্ধার করতে পারি।
এইবার ডাবল ধুর!! মোবাইলটা পকেটে ঢুকাইনি। স্যার দেখি আবার ঝারি না দিয়ে ওটা নিয়ে গুঁতাগুঁতি শুরু করল। উদ্ভট!! এভাবে সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে কি আর ঘার ঘুরানো যায়?!
কি করা যায় ভাবতে ভাবতেই কে যেন পাশ থেকে ডাকা ডাকি শুরু করল!!
ছোট ভাইটা ডাকছে। ভাইয়া অফিসে যাবা না?!
ওফ! যাক। দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম এতক্ষণ!! আবার একবার পরীক্ষার কথা চিন্তা করতেই কেমন যেন গায়ে কাঁটা দিল।
তুপাটা আমেরিকা যাচ্ছে। পড়ালেখা করার জন্য! অনেক অনেক ভাল থাকিস। শুভকামনা।
Leave a Reply