কিছুই লেখা হয় না বহুদিন হল। সারা দিনের কাজ কর্ম, ক্লান্তি সব কিছুর পরে আর ধৈর্য্য হয় না। আর বাঙ্গালীর তো আজকাল এমনেতেই ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষনের প্রভাব মনে হয়!! হা হা!! ব্যাপারটা নিয়ে গবেষনা হতে পারে… কি কারণে সব ধৈর্য্য, সহনশীলতা আর ভদ্রতা হারিয়ে যাচ্ছে সবার মধ্যে থেকে… যাকগে, এসব নিয়ে গবেষনা করে বনের মোষ তাড়ানোর লোকের অভাব নেই বাংলাদেশে। আমি আপাতত আমার চারপাশ থেকে মশা তাড়াই। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে গেলাম। আচ্ছা, এই যে গত ২৪ বছর ধরে মশার কামড় খেয়ে আসছি, এতদিনে তো এটাতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা। Evolution তো তাই বলে নাকি? ডারউইন সাহেব কে পেলে জিঞ্জ্বেস করা যেত। তাঁকে আর পাব কোথায়? মশার কামড় খেয়েই লিখতে থাকি। অবশ্য মশারির ভিতরে ঢুকে যাওয়া যায়, কিন্তু ল্যাপটপ নিয়ে লিখতে গেলে পিঠে ব্যাথা হয়ে যাবে। আচ্ছা, লিখতেই যে হবে এমনও কোন কথা নেই। থাক, লিখি কিছুক্ষন। অনেক দিন ধরে ব্লগটা ফাকা পড়ে আছে।
দুদিন ধরে ঘোড়া রোগ বাস কম্পানি গুলোর। সোজা রাস্তা রেখে দুনিয়া ঘুরে যাওয়া আসা করবে। প্রতিদিন পাক্কা ৪ ঘন্টা করে রাস্তায় নষ্ট হয়। ৪ এর মধ্যে ৩ ঘন্টাকে যদি কর্ম ঘন্টা ধরি, তাহলে কত টাকার ক্ষতি হচ্ছে? আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের IT ডেভেলপারের গড় rate ২০ ডলার/ঘন্টা ধরলে, ৩ ঘন্টায় ৬০ ডলার। মাসে ২০ দিন এই ভাবে মোট খরচ ১২০০ ডলার!!! হায় আল্লাহ এতো দেখি আমার মাসের বেতনের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে!! ভালই… দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন মেগা সিটির বাসিন্দা।
সবকিছুতেই আজকাল negative দিকটাই আগে দেখছি। কারণটা কি? না মানব হয়ে যাচ্ছি নাকি? ‘না মানব’! ভাল হয়েছে তো নামকরণ টা। মাঝে চেষ্টা নিয়েছিলাম জোর করে ‘হ্যাঁ মানব’ হওয়ার। হয়ে গেলাম উল্টোটা। ভাবছি এবার জোর করে না মানব হওয়ার চেষ্টা করব। যদি অবস্থার কিছু উন্নতি হয়।
আচ্ছা, আমি তো আমার দেশটা কে অনেক বেশি ভালবাসি। তাহলে কেন সব খারাপ দিক গুলোই চোখে পড়ে? ভাল দিক যে পড়ে না তা নয়। আসলে দেশের খারাপ দিক না। মনে হয় দেশের মানুষ এর। আমার দেশটায় চুড়ান্ত রকমের দূষন দেখা দিয়েছে। মানব দূষন। আমিও বেচে নেই এই দূষন থেকে। মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আবার ভাবি, ধ্যাত, পালাব কেন? আসলে হয়ত পালানোর জায়গাও নেই। তাই একটু হিরোগিরি দেখানোর চেষ্টা।
আজকাল সারাক্ষনই মেজাজ খারাপ হয়ে থাকে। বাসায় থাকা চাচাতো ভাইটাকে গত ৩ বছরে কখনো বকিনি। কিন্তু কাল প্রথমবারের মত বকা দিলাম। কিন্তু সেটাও অকারণে। বাইরে বের হলেতো কথাই নেই। মনে হয় নিজে ছাড়া আর সবাই উলটো পথে চলছে। আসলে হয়ত আমি নিজেই সোজা পথটা দেখতে পাচ্ছি না।
মেজাজ খারাপের কোন কারণ খুঁজে পাই না। খুঁজতে যাইও না অবশ্য। সেটা খুঁজে বের করতে গেলে মনবিঞ্জানে PHDর থিসিস পেপার হয়ে যাবে।
কি সব আবোল তাবোল লিখে যাচ্ছি। এটা অবশ্য মজাই। যাই লেখো না কেন, কেউ কিছু বলবে না। অর্থহীন হলেতো আরও ভাল। সবার মাথার উপর দিয়ে যাবে। কেউ কিছু না বুঝে উলটো বাহবা দিয়ে যাবে! খাসা হয়েছে বৎস, চমৎকার লিখেছ। কিন্তু লিখেছি যে কাকের ঠ্যাং আর বকের ঠ্যাং তা তো শুধু আমিই জানি। যে বাহবা দিচ্ছে সে ও জানে। কিন্তু বলে না। হাজার হোক মেগা সিটির বাসিন্দা। নাগরিক সভ্যতা বলে একটা ব্যাপার আছে না?!
সকল সুনারগিকদের শুভেচ্ছা। আর যারা এইযে ৩০ মিনিট নষ্ট করে এই লেখা টা পরলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। এই ৩০ মিনিটের মূল্য উপরের সূত্র অনুসারে ১০ ডলার = প্রায় ৭০০ টাকা। হা হা… বেশ বেশ… ভাল একটা সূত্র আবিস্কার করে ফেলেছি। আগামী বছর নোবেলের জন্য মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোন বিভাগে পাবে এই ব্যাপারে একটু confusion আছে। এই confusion টার জন্য নোবেলটা আবার মিস না হয়ে যায়!!
Leave a Reply